শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা
কুকীর্তি ফাঁস হওয়া সেই শফিকুল এবার সভাপতির পদ হারাচ্ছেন

কুকীর্তি ফাঁস হওয়া সেই শফিকুল এবার সভাপতির পদ হারাচ্ছেন

হেলাল হোসেন কবির: নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়কে পুঁজি করে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকা সমলোচিত সেই শফিকুলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

 

শফিকুলের অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বাঁচতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ১০ সদস্যের মধ্যে ৬জন পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের ক্ষেত্র সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়ার কারণে কমিটির বৈধতা হারিয়েছে গেছে।

 

লালমনিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ পেয়ে দাম্ভিক ভাবে চলা শফিকুলের বিরুদ্ধে একের পর এক থলের বেড়াল বেড়াতে শুরু করেছে।

 

জানা যায়, একাধিক নারী কেলেঙ্কারি এই শফিকুল পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার পর একের পর এক ঝামেলা লেগেই আছে। যার ফলে বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান নষ্টের দিকে যাচ্ছে। বিদ্যালয়কে পুঁজি করে টাকা কামানো যেন নেশা হয়ে গেছে তার।

 

কোন নিয়মকে তোয়াক্কা না করে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো চালাতে চায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। মোটা অংকের টাকা নিয়ে নতুন ভাবে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে এর আগে আলোর মনিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরেও নিজেকে পরির্বতন না করে উল্টো বেপরোয়া হয়ে পরে। যার কারণে শফিকুলের সাথে কমিটিতে না থাকা নিয়ে গত ১৩ জুলাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সারওয়ার এর বরাবর লিখিত ভাবে শিক্ষক প্রতিনিধির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন মোঃ আবু তাহের, মোছাঃ মাহফুজা বেগম ও সফি উদ্দিন।

 

এদিকে গত ১৬ জুলাই অব্যাহতি নিয়েছেন অভিভাবক সদস্য মোঃ মাহতাব উদ্দিন, গোলাম মোর্ত্তুজা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাঃ রুমি।

 

কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এ ধরনের নোংরা মানসিকতার লোক দারা একটি শিক্ষা চলতে পারে না, সে নিজে যা খুশী তাই করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, বিদ্যালটিকে বাঁচাতে আমরা কমিটিতে থাকতে চাচ্ছিনা, তার পরেও লোকজন দিয়ে আমাদের তার সাথে থাকার জন্য চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

 

তাঁরা দাবী করে আরও বলেন, যেসব ব্যক্তিদের নিয়োগের আগেই নিউজে নাম আসলো, ঘুরেফিরে তাদেরকে নিয়োগ দিলো সে! এই দায় আমরা নিবো কেন, তাই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করি নাই।

 

শফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিয়োগ বাণিজ্য করেছি, আমার মেলা বউ নিয়ে এর আগে নিউজ হইছে, তাতে কি হইছে তা, স্কুলের নিয়োগের টাকা দিয়ে প্রয়োজনে আরও একটা বিয়ে করবো।

 

বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় প্রধান শিক্ষক গোলাম সারওয়ার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরিচালনা কমিটিতে বিভিন্ন মানুসিক কারণে জেদাজেদি চলছে, ব্যাপারটা একটা সুরাহা করিতেছি।

 

জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারি বলেন, আমরা তো খোঁজ খবর নিচ্ছি দেখি কি করা যায়, আর যদি কমিটি দন্ড না মিটে তাহলে তো পদক্ষেপ ভিন্ন হবে। আর নিয়োগ নিয়ে এই কমিটি যদি রেজুলেশন পাশ করে না থাকে তাহলে সেখানে নিয়োগ বাতিল বলে গণ হবে। তবে, রেজুলেশন পাস হয়েছে কিনা তা ভালো করে খোঁজ খবর নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone